দাদা, উচ্ছন্নে যাওয়ার রাস্তাটা কোনদিকে?
স্টিভ কাপলান বলেছেন, কমেডি হল একটা চেষ্টা। ভীষণ সাধারণ একটা মানুষের, সমস্ত রকম বাধার বিরুদ্ধে, কোনওরকম পারদর্শিতা, জ্ঞান, বোধ ছাড়া, আপ্রাণ জেতার চেষ্টার নাম কমেডি।
তেমনই এই বইয়ে, বহুকাল ধরে জমা হাজার কষ্ট (যেমন চেহারা, অ্যাসিডিটি, কিছুতেই ক্রিকেট ভালবাসতে না পারা, দাড়ি না ওঠা, কবিতা লিখতে না পারা, সোজা উত্তর দেওয়ার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলা, কেউই সিরিয়াসলি নিতে না চাওয়া, সবাই অংসখ্য প্রেমিকা আছে ভাবা সত্ত্বেও তিন বাল্যবন্ধুর সঙ্গে স্টার ওয়ার্স দেখে উইকেন্ড কাটানোর মতো প্রগাঢ় সিঙ্গলত্ব, ইত্যাদি প্রভৃতি) সম্বল করে, দু-পকেটে হাত আর দু-কানে হেডফোন গুঁজে চারপাশ দেখার কথা বলা হয়েছে ফলাও করে।
বুঝলেন না? জাস্ট ব্রেকাপের দু’দিন আর দু’বছর পরের কথা ভাবুন। এই যে আপনি সেই কবে থেকে মনেপ্রাণে আধুনিক হতে চাইছেন? পারছেন? কিন্তু চেষ্টাটা থামাচ্ছেন কি? কিন্তু ঘুম উঠতে দেরি হয়ে যাওয়ায়, পথে গাড়ি ঘোড়া কিচ্ছুটি না পাওয়ায়, একে ওকে তো জিজ্ঞেস করতেই হচ্ছে, দাদা, উচ্ছন্নে যাব কীভাবে?
সৌমিত দেব
সৌমিত দেব ওরফে মামা। বয়সে ব্রক লেসনারের চেয়ে ঠিক বারো বছরের ছোট। এঁর চামড়া বৈজ্ঞানিক জোসেফ স্টেফানের জীবনের বীজমন্ত্রস্বরূপ। কলেজ ওনাকে ধরে রাখতে পারেনি। তাই তিনি রাস্তায় ঘুরে ঘুরে ‘কবে নিয়ে আমার বাঁশি/বাজাবে গো আপনি আসি’ গেয়ে বেড়ান। এঁর দমদমায় একটি খুলিগুহা আছে। সেখানে বসে এই খড়কেকাঠিটি ধাতবসঙ্গীত শোনেন, রসময় গুপ্ত এডিট করেন এবং মায়া ডেরেনের চেয়েও হ্যালু সিনেমা বানান। এনার জিহ্বাগ্রে সরস্বতী বাস করেন, তবে সরস্বতীর পায়ে গুফো হওয়ায় একটু খুঁড়িয়ে বেরোন। দেবাদিদেবের হস্তলিপি সাক্ষাৎ হরপ্পা, টিশার্ট চের্ণোবিল এবং মানিব্যাগ তাকলা মাকান। মামাদেব আদ্যন্ত নারীবাদী, তাই নারী মাত্রেই তাঁকে বাদ দিয়ে থাকেন। মামাদেবের লেখা ভয়ের সিনেমা দেখতে এসে রামগরুড় 2.0 শপথভঙ্গের দায়ে জেল খাটছেন। সব মিলিয়ে সৌমিতকুমার একটি জ্বালাময়ী ধূমকেতু, গলা থেকে অপান পর্যন্ত পানে ঠাসা একটি বিশিষ্ট পানজেন্ট মাল।
সমালোচনা পড়ার জন্য ছবির উপরে ক্লিক করুন।
