সন্দীপন চট্টোপাধ্যায় সম্পর্কে
দুটো একটা কথা যা আমরা জানি
সম্পাদনা- অদ্রীশ বিশ্বাস, প্রবীর চক্রবর্তী
লেখক – শঙ্খ ঘোষ, অলোকরঞ্জন দাশগুপ্ত, অরুণেশ ঘোষ, বরুণ চৌধুরী, কিন্নর রায়, সাধন চট্টোপাধ্যায়, অশোক দাশগুপ্ত, স্বপ্নময় চক্রবর্তী, রঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়, শান্তি লাহিড়ী, সুবীর চট্টোপাধ্যায়, ল্যাডলী মুখোপাধ্যায়, সমীর রায়চৌধুরী, দেবেশ রায়, হীরেণ চট্টোপাধ্যায়, দীপেন্দু চক্রবর্তী, ধীমান দাশগুপ্ত, রবিশংকর বল, হিরন্ময় গঙ্গোপাধ্যায়, শরৎকুমার মুখোপাধ্যায়, সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়, উৎপলকুমার বসু, দীপক মজুমদার, অনিরুদ্ধ লাহিড়ী, পার্থপ্রতীম বন্দ্যোপাধ্যায়, নিত্যপ্রিয় ঘোষ, রামকুমার মুখোপাধ্যায়, সুমিতা চক্রবর্তী, উদয়ন ঘোষ, রবিন পাল, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়
অতিরিক্ত- ৮টি সাক্ষাৎকার
প্রচ্ছদ ও অলংকরণ– হিরণ মিত্র
সংযোজন- গ্রন্থপঞ্জী
শিল্পনির্দেশনা – সায়ন্তন মৈত্র
বই নকশা – ময়াঙ্ক রাই
পৃষ্ঠা – ৪০৬
ডিমাই সাইজ, হার্ড বাউন্ড, কাপড়ে বাঁধাই
মূল্য – ৫৫০ ভারতীয় টাকা
ISBN – 978-93-87577-17-6

অনলাইন কিনতে –
বইচই ও থিংকারস লেন































তো সেইভাবেই ছাপা হল, প্রায় অবিকল। পিকাসোর বর্ণিত অদৃশ্য হ্যালো নটরাজ রবারে মুছতে মুছতে সন্দীপনেরই ভারি দেরি হয়ে যায়। তখনো সাহিত্য আকাডেমি পাননি, আর অবিশ্বাস্য, মারাও যাননি যে তাকে নিয়ে দু-চারটে আলোচনা হবে। সুতরাং তার মতো নিছক গদ্যকারের তরবারি দিয়ে দাড়ি কামানোর পাশাপাশি আঙুলে লেগে থাকা অর্বুদ গন্ধও ধরতে চেয়েছেন কেউ কেউ। সন্দীপনচর্চার এই দলিল তৈরি হয়েছিল নব্বইয়ের দশকে। লেখায়-কথাবার্তায় বারুদে-বরাভয়ে সন্দীপন চট্টোপাধ্যায় সম্পর্কে দুটো একটা কথা যা আমরা জানি, হয়ে দাঁড়ায় সন্দীপনচর্চার আকর। হিরণ মিত্র দুই মলাটেই লেখককে দিয়েছিলেন নগ্ন করে, কাপড় পরানো হল না এ যাত্রায়ও।

কর্পোরেশনের কল দিয়ে অনেক জল গড়িয়েছে, অগত্যা কিছুটা মান্যতা পেয়েছেন তিনি, রচনাবলি-টলিও। ‘ফাটিয়ে দিয়েছ গুরু’ টাইপের পরবর্তী কালে লিখিত সন্দীপনের এপিটাফগুলি বাদ রেখেই এহেন বই, প্রায় অবিকল, পথিকৃৎ বইটিই এসেছে আবার নতুন সাজে সেজে। এ যাত্রায় হিরণ মিত্র প্রচ্ছদকে সাজিয়েছেন যৌনতার আলোয় আর পাতায় পাতায় সন্দীপনকে বেঁধেছেন কামার্ত দ্রাঘিমায়। তাই আবার কিছুটা সন্দীপন চর্চা কিছুটা সময়ের, সব মিলিয়ে বাংলা গদ্যের এই চড়ুইভাতি বিস্ময়কর। আর হ্যাঁ আগের সংস্করণে কোনও ব্লার্ব না থাকায় সেটা অবশ্য লিখতে হল হ্যাপা করে।

বাংলা গদ্যের দিকবদলে যতটুকু উল্লেখযোগ্য তার মধ্যে পাশ্চাত্যমুখীতা ও নাগরিকতা অন্যতম। আমাদের গদ্যসাহিত্যে যা কিছু আধুনিকতা, তালের বা ভাবের, তার চোদ্দো আনাই পাশ্চাত্য মন ও নাগরিকতাকে স্বীকৃতি জানিয়ে। যেভাবে এই শতকের অধিকাংশ পৃথিবী বিখ্যাত লেখকেরা ভেবেছেন বা লিখেছেন। সন্দীপন চট্টোপাধ্যায় সেই ক্ষেত্রের অন্যতম। আমাদের ভাষার যতটুকু শিরদাঁড়া সোজা করে দাঁড়াবার ক্ষমতা, তার পিছনে সন্দীপনের গদ্যসাহিত্যের বিশেষ কিছু ভূমিকা আছে। তা আধুনিক, তা সাহসী। এবং তার উপজীব্য যে অপারগতা, অসুস্থতা, অসুখী মনোভঙ্গী, যা সেই তত্ত্বকে হাজির করে— লেখা ও লেখক অবিচ্ছেদ্য। ইদানীংকালের বিশ্বাসে সেই পাঠ্যের সঙ্গে পাঠকের সংযোগ হিসাবহীন। অথচ তা নিত্য বর্তমান। সেই পাঠ্য ও পাঠকের সত্য-সম্পর্ককে তুলে ধরতেই সন্দীপন বিষয়ক আলোচনাগুলোর অবতারণা। শেষ পর্যন্ত দুই মলাটে।

(প্রথম সংস্ককরণের ভূমিকা থেকে)

প্রথম সংস্করণের প্রচ্ছদ

পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত আলোচনা- সমালোচনাগুলি পড়তে উপযুক্ত লিংক বা ছবিতে ক্লিক করুন।

আনন্দবাজার পত্রিকা ৩১.১০.২০ সমালোচনা করলেন অমর মিত্র পড়তে সরাসরি ক্লিক করুন এইখানে

আজকালের প্রিভিউ