জাতিসংঘের ড্রাগ ও অপরাধ সংক্রান্ত দপ্তরের ২০১৮ সালের রিপোর্ট বলছে, সারা বিশ্বে প্রতিদিন গড়ে একশো সাঁইত্রিশ জন নারী তাঁদের অন্তরঙ্গ সঙ্গী বা পরিবারের সদস্যদের হাতে খুন হন। তাঁরা বলছেন, ঘর নারীর জন্য নাকি বাইরের থেকেও ঝুঁকিপূর্ণ৷ ২০১৭ সালে সারা বিশ্বে ৮৭,০০০ নারী নিহত হয়েছেন। তাঁদের অর্ধেকেরও বেশি মারা গেছেন তাঁদেরই ঘনিষ্ঠ মানুষের হাতে। অথচ গৃহহিংসা নিয়ে প্রকাশ্যে আলোচনা এখনও একরকম সামাজিক ট্যাবু। আছে যৌন নির্যাতন। বৈবাহিক ধর্ষণের ধারণা এখনও এদেশের আইনে নেই। কীরকম অবস্থায় দিন কাটান এই নির্যাতিতরা? অত্যাচারীই বা কেমন সামাজিক শিক্ষা বা মানসিক গঠনের ফলে অত্যাচারী হয়ে ওঠে? গৃহহিংসার পরিবেশে শিশুদের কী অবস্থা হয়? আমাদের ঐতিহ্য কীভাবে গৃহহিংসাকে পুষ্ট করেছে? ৪৯৮ক কী সত্যি ছিল এক কালা কানুন? কারা কাজ করছেন বর্তমানে গৃহহিংসা নিয়ে? এই সব প্রশ্নের উত্তর অনুসন্ধান করার চেষ্টা করল বইটি৷
শতাব্দী দাশ
ইংরাজিতে স্নাতকোত্তর। শিক্ষকতা করেন। গল্প ও প্রবন্ধ বিভিন্ন ওয়েবম্যাগ, পোর্টাল ও পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত৷ বর্তমানে একটি ওয়েব-পোর্টাল সম্পাদনায় নিযুক্ত৷
গৃহহিংসা বিষয়ক কর্মসূচি দিয়ে সমাজ- সচেতনতামূলক কাজ-কর্মে হাতেখড়ি। লিঙ্গবৈষম্য সম্পর্কে সচেতনতা প্রসারে বর্তমানে বিভিন্ন সংস্থায় ও ব্যক্তিগত ভাবে স্বেচ্ছাশ্রম দিয়ে থাকেন। সমাজকর্মী ও লিঙ্গসাম্য-কর্মী হিসেবে পরিচিত হতেই সাবলীল বোধ করেন। নিজের প্রবন্ধের বই—নারীবাদী চিঠি ও অন্যান্য (সৃষ্টিসুখ)। তাও লিঙ্গরাজনীতি সংক্রান্ত নানা বিষয় কেন্দ্রিক৷ নিজস্ব ছোটগল্পের বই— অ-নান্দনিক গল্পসংকলন(ঐহিক)। সেখানেও ঘুরে ফিরে প্রান্তিক ও মেয়েদের কথা।
ফোটো- কৌশিক দত্ত