ফেলুদা রহস্য
লেখক – প্রসেনজিৎ দাশগুপ্ত
প্রচ্ছদ ও অলংকরণ – সত্যজিৎ রায়
সম্পাদনা – সুমেরু মুখোপাধ্যায়
শিল্পনির্দেশনা – সায়ন্তন মৈত্র
বই নকশা – ময়াঙ্ক রাই
শিরোনামলিপি- সত্যজিৎ রায়
পৃষ্ঠা – ৩৩৬
ডিমাই সাইজ, হার্ড বাউন্ড, কাপড়ে বাঁধাই
মূল্য – ৫০০ ভারতীয় টাকা
ISBN – 978-93-87577-06-0

অনলাইন কিনতে –
বইচই ও থিংকারস লেন ডট কমে































বাঙালি গোয়েন্দা শুনলেই মানসপটে ভেসে ওঠে ৬ ফুট ২ ইঞ্চি লম্বা, খড়গনাসা এক যুবাপুরুষের ছবি। ইনি ডায়েরি রাখেন গ্রীক হরফে, ইংরিজি ভাষায়। কেবল কোল্ট ৩২ রিভলবার নয়, তার আসল অস্ত্র হল মগজাস্ত্র। বন্ধু রহস্যরোমাঞ্চের লেখক নিজের বইএর গোয়েন্দা প্রখর রুদ্রকে তৈরি করেছেন অনেকটা এঁর আদলেই। যতই সৌমিত্র সব্যসাচী হয়ে আবীর মাখুক না কেন সকলের ছোটবেলা, গত পঞ্চাশ বছর ধরে বাঙালি ঠিকঠাক বুঝে উঠতে পারেনি, এত কাছের মানুষটাকে। তাই আগাগোড়া রহস্যে মোড়া থেকেছে স্বয়ং—আমাদের সকলের প্রিয় ফেলুদা।

বুদ্ধিতে ধুরন্ধর গোয়েন্দাগিরিতে ধুন্ধুমার ফেলু মিত্তিরের জীবন নিয়ে ধন্দের শেষ নেই, আর তার জন্যই এই বই। ফেলুদার রঙ্গরসিকতা থেকে রেসের মাঠের প্রতি নজর কিছুই বাদ পড়েনি এই বইয়ে। পড়তে-পড়তে সত্যিই দেখতে পাবেন দক্ষিণ কলকাতার রজনী সেন রোডের অধিবাসী প্রদোষ চন্দ্র মিত্র, প্রাইভেট ইনভেস্টিগেটরকে। যাঁর ডাক নাম ফেলু। গোয়েন্দাগিরিতে সত্যিই ওকে সহায়তা করে খুড়তুতো ভাই তপেশ, ওরফে তোপসে। অ্যাডভেঞ্চারের সঙ্গী হন সেই লেখকবন্ধু লালমোহন গঙ্গোপাধ্যায় যার ছদ্মনাম জটায়ু। তপেশ ফেলুদার কাহিনিকে লেখে অনেকটা উপন্যাসের ঢঙে। ১৯৬৫তে প্রথম প্রকাশের পর ১৯৯৭ অবধি ফেলুদার মোট ৩৫টি সম্পূর্ণ ও ৪টি অসম্পূর্ণ অ্যাডভেঞ্চারের কাহিনি তোপসে লিখেছে। এইবার লেখা হল তার পূর্ণাঙ্গ বিশ্লেষণ — গোয়েন্দাগিরিতে কতটা দিশি আর কতটা বিলিতি প্রভাব রয়েছে তারও চুলচেরা তদন্ত। রক্তমাংসের বাস্তবের মতো ফেলুদা, তোপসে ও জটায়ুর জীবনের অনালোচিত নানা দিক উঠে এসেছে এই বইয়ে। উইলিয়াম বেরিং-গুল্ড যেভাবে তৈরি করেছিলেন শার্লক হোমসকে অনেকটা তেমনভাবেই ফেলুদার আবির্ভাবের পঞ্চাশ বছর পর তাকে দেখার চেষ্টা ‘ফেলুদা রহস্য’-এ। এই বইতে বাদ পড়েনি খলনায়ক, শিশু চরিত্র, সংগ্রাহক, মহিলা চরিত্র, পুলিশ অথবা অন্য গোয়েন্দাদের কথা। রয়েছে সমাজবিজ্ঞান ও মনোবিজ্ঞানের দিশা, খুন সম্পর্কিত খুঁটিনাটি, বেশ কিছু অসমাপ্ত লেখার কারণ এবং ফেলুদার ভুলভ্রান্তিও।

প্রসেনজিৎ দাশগুপ্ত

হাওড়া দেওয়ানী আদালতের আইন ব্যবসায়ী। পিতা এবং পিতামহ উভয়েই ছিলেন আইনজীবী। পেশাগত বিষয় ছাড়া প্রত্নতত্ত্ব, শিল্পকলা, রহস্য, গোয়েন্দা ও ভৌতিক সাহিত্য, বিদেশি ছায়াছবি প্রভৃতির প্রতি প্রসেনজিতের গভীর অনুরাগ। শখ―বেড়ানো, বই পড়া আর ফোটোগ্রাফি। ঐতিহাসিক ও প্রত্নতাত্ত্বিক স্মৃতিবিজড়িত এবং ধর্মীয় ঐতিহ্য সম্বলিত স্থানের প্রতি তাঁর বিশেষ আকর্ষণ। লেখালেখির বিষয় ভ্রমণকাহিনি, প্রত্নতত্ত্ব, রহস্য ও গোয়েন্দা বিষয়ক আলোচনা।

প্রকাশিত বই―ভ্রমণকাহিনি সংকলন: পথে চলে যেতে যেতে। প্রত্ন বিষয়ক: ভারতশিল্পে নারীমূর্তি, খাজুরাহো, মান্ডু, ভারতের মন্দির ভাস্কর্যে সমাজ ও সংসার, ইলোরা: প্রত্ন ও শিল্প, ওরছা: স্মৃতির শহর, রহস্যের তাজমহল, সাঁচি, কোনারকের ভাস্কর্য। রহস্য ও গোয়েন্দা বিষয়ক আলোচনা: সাহিত্যের গোয়েন্দা, রহস্যের রানি আগাথা ক্রিস্টি, গোয়েন্দাচরিত, সাসপেন্সের সম্রাট হিচকক।

আলোচনা সমালোচনাগুলি পড়তে ছবির উপর ক্লিক করুন।

আজকাল পত্রিকায় প্রকাশিত সমালোচনা
এই সময় পত্রিকায় প্রকাশিত সমালোচনা ৫ জুন ২০১৯
সাপ্তাহিক বর্তমানে প্রকাশিত আলোচনা ২৫ মে ২০১৯
বই প্রকাশের তিন মাস আগে আজকাল পত্রিকায় প্রকাশিত প্রিভিউ ২৮ অক্টোবর ২০১৮