লেখাগুলো সকলের কখনও না কখনও হওয়া অভিজ্ঞতা। বিভিন্ন পেশায় বিভিন্ন অবস্থায় টয়লেট এবং লেডিস টয়লেটের সঙ্গে লেডিসদের সম্পর্কের কথা উঠে এসেছে নানান বয়ানে। আলোচনা করা হয়েছে মেন্সট্রুয়েশনের দিনগুলোর কথা। সব লেখাই এখানে এক-একটা ব্যক্তিগত সঙ্কট, জার্নির কথা। কিন্তু, সবটাই মেয়েদের কথা। কোথাও গিয়ে এই বইয়ের প্রতিটা লেখার কণ্ঠ এক হয়ে যায়। তারা সমস্বরে দাবি করে, মেয়েদের জন্য রাস্তায়, কর্মক্ষেত্রে, সে ইটভাটাই হোক, বা মাল্টিস্টোরেড বিল্ডিং, সব জায়গায় পরিষ্কার-পরিছন্ন শৌচালয়ের ব্যবস্থা করতে হবে। সেই ব্যবস্থা পাওয়া প্রতিটি মেয়ের মৌলিক অধিকারের মধ্যে পড়ে।
শ্রাবস্তী ঘোষ
একজন পারফর্মার। ২০১৮-এ দিল্লির আম্বেদকার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘পারফরমেন্স স্টাডিজ’-এ স্নাতকোত্তর । তার আগে ২০১৬-এ কলকাতার প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা সাহিত্য নিয়ে গ্রাজুয়েশন। ছোট থেকে নাচ ও থিয়েটারে প্রশিক্ষিত হওয়ার দরুন এই দুই শিল্পের মধ্যেখানে একজন পারফর্মারের শরীরী ভাষা নিয়ে কাজ হল শ্রাবস্তীর আগ্রহের মূল জায়গা। পারফর্মারের বডি, মুভমেন্ট, জেন্ডার, ইডেন্টিটি তার কাজের বিষয়। এর সঙ্গে সঙ্গেই নাচকে শুধুমাত্র একটি পারফরমেন্সের মাধ্যম হিসেবে না দেখে শ্রাবস্তী নাচের অন্য ভাষা খুঁজতে আগ্রহী, যা যে কোনও মানুষের নিজস্ব ভাষা হতে পারে। আর, সেই আকর্ষণ থেকেই শ্রাবস্তী বর্তমানে কলকাতা সংবেদে ডান্স মুভমেন্ট থেরাপি নিয়ে ডিপ্লোমা করছে। যেখানে শরীর ও মন সংযুক্ত হয় নাচের মাধ্যমে, একটি অল্টারনেটিভ থেরাপিউটিক প্রসেস হিসেবে কাজ করে। ‘লেটস নট হুইস্পার’ শ্রাবস্তীর একটি নিজস্ব একক পারফরমেন্স আর্ট। মেন্সট্রুএশন সংক্রান্ত ট্যাবু বা সংস্কারের প্রতিবাদ হিসেবে এই পারফরমেন্সটি তৈরি।