মেলোডি জংশন
লেখক – শিবাংশু দে
প্রচ্ছদ ও অলংকরণ – পার্থ দাশগুপ্ত
সম্পাদনা– জয়ন্তকুমার মুখোপাধ্যায়
শিল্পনির্দেশনা – সায়ন্তন মৈত্র
শিরোনামলিপি- পার্থ দাশগুপ্ত
বই নকশা – ময়াঙ্ক রাই
পৃষ্ঠা –৪৬৪
ডিমাই সাইজ, হার্ড বাউন্ড, কাপড়ে বাঁধাই
মূল্য – ৮০০ ভারতীয় টাকা
ISBN – 978-93-87577-58-9

অনলাইন কিনতে –
বইচই ও থিংকারস লেন ডট কম































যাঁরা কিছুটা হলেও গানের গভীরে যাবার অধিকারী আগেকার দিনে রাজাবাদশার দরবারে উচ্চাঙ্গের গান শুনতে কেবল তাঁদের প্রবেশাধিকার ছিল। একালে কারিগরি উন্নতির কল্যাণে গান শোনার সুযোগ অনন্ত, কিন্তু সঙ্গীতের গভীরে যাবার শিক্ষা কোনও ইশকুল-কলেজে দেওয়া হয় না। শ্রোতা বেড়েছে, সমঝদার কমেছে। বহ্বাড়ম্বর বেড়েছে, উপলব্ধি কমেছে। চারদিকে ছড়িয়ে থাকা সুরের চরাচরকে স্পর্শ করার ইচ্ছে নিয়ে এই গ্রন্থের যাত্রা। ঘটনা হল, কেন গান? কীসের গান? কেন যুগ যুগান্তর ধরে গান মানুষের শ্রেষ্ঠ অর্জন হয়ে উঠেছে। সমস্ত শিল্প বিচার করে কেন মানুষকে বলতে হয় ‘গানাৎ পরতরং নাহি’। এই গ্রন্থে সেই প্রশ্নেরই উত্তর খোঁজার যাত্রা। গান-যাপনের পথে সলতে পাকানোর প্রস্তুতিটি যার আধেয়।

বৈষ্ণব ও শাক্ত কবিদের গ্রামস্বভাবী, মরমিয়া সৃষ্টিসম্পদের উত্তরসূরি বহু ধরনের গান ছিল বাঙালির প্রেয় ঐতিহ্য। এই সব সঙ্গীতধারাই পরবর্তীকালে বাংলা  নাগরিক গানের মূল স্রোত। অষ্টাদশ শতকের শেষ থেকে বাংলা ‘আধুনিক’ গানের উৎপত্তি। বাংলা গানে নাগরিক প্রবণতা উন্মেষের প্রাক্কালে বাঙালি শুনত, কবিগান, তরজা, আখড়াই, ঢপকীর্তন, ঝুমুর ইত্যাদি। পরে হাফ আখড়াই। নাগরিক গানের প্রতি বাঙালি শ্রোতার আগ্রহ দানা বাঁধতে শুরু করে নবাবি শাসন থেকে ইংরেজ শাসনের সন্ধিকাল পর্বে। আজ পর্যন্ত  বাংলা গানকে কয়েকটি যুগে ভাগ করলে দেখা যায়, প্রতিটি যুগেই বহু দক্ষ, সৃষ্টিশীল সঙ্গীতকাররা এসেছেন। কিন্তু কয়েকজন দিকপাল সুরশিল্পী, সৃষ্টিশীলতার ব্যাকরণটি যুগধর্মের সঙ্গে সমন্বিত করে ‘নতুন’ ধারার প্রবর্তন করেছিলেন। শ্রোতাদের কাছে সঙ্গীত উপভোগের নতুন মাত্রা এনে দিয়েছিলেন তাঁরা। তাঁদের গেম চেঞ্জার বলা যেতে পারে। বাংলা গানে সে রকম চারজন সঙ্গীত ব্যক্তিত্বকে নিয়ে পৃথক ও বিশদ চর্চা করা হয়েছে— রামনিধি গুপ্ত, রবীন্দ্রনাথ, সলিল চৌধুরী এবং কবীর সুমন।

শিবাংশু দে

তাঁর নেশা সঙ্গীত। বাংলা পুরাতনী ও টপ্পা অঙ্গের গায়নে উনি সিদ্ধিপ্রাপ্ত। কিন্তু শেকড় হাতড়ে দেখা মন বার বার টেনে নিয়ে গেছে সঙ্গীতের জগতে বিভিন্ন রাগ ও গায়নশৈলীর উৎস এবং বিবর্তনের সন্ধানে। সারাজীবন অনেক পথ হেঁটেছেন, ঘুরে বেড়িয়েছেন যত না চাকরিসূত্রে তার চেয়ে বেশি নেশায়— দেশ এবং মানুষ দেখার। পরিব্রাজক মানুষটির অনায়াস গতায়াত প্রাচীন ভারতের অলিগলিতে– পুরাণকথা থেকে বৌদ্ধভারত। আবার পর্যবেক্ষণ করেছেন বনারসের প্রান্তিক মানুষের জীবন এবং দাক্ষিণাত্যে কাঞ্জিভরম বুনকরদের যাপনচিত্র।

প্রকাশিত বই- দেবতার সন্ধানে– এক অনার্য অডিসি,  বুদ্ধ– এক অনন্ত অডিসি, হিন্দু দেবতা– এক অনির্বেদ অডিসি

লেখকের ফোটো- শ্রাবণী দে

আলোচনা বা সমালোচনাগুলি পড়তে ছবির উপরে ক্লিক করুন।