‘সুরের গুরু ওস্তাদ আলাউদ্দীন খাঁ’ প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল ‘দেশ’ প্রত্রিকায়, ধারাবাহিক ভাবে ১৯৫৬ সালে। শোভনা সেন আলাউদ্দীনের সঙ্গে দেখা করতে যান আলাউদ্দীনের তৎকালীন জামাই পন্ডিত রবিশঙ্করের দিল্লির বাড়িতে। আলাউদ্দীনের শিল্পসত্তা ছাড়াও মানুষ আলাউদ্দীনকে পাওয়া যায় এই লেখায়। শোভনা লিখেছেন ওস্তাদ আলাউদ্দীন খাঁর উদারতার কথা। হিন্দু বা মুসলিম কোনও ধর্মের গণ্ডিতেই মাপা যায় না তাঁকে। সঙ্গীত সাধনা ও ভগবত আরাধনা কোথাও যেন মিলে মিশে সময়ের সীমারেখা পার করে তাঁকে বানিয়েছে সুরের গুরু। এযাবৎ অগ্রন্থিত ধারাবাহিকটি নতুন করে ছাপা হল এই সঙ্কটকালে যখন উদারতা শব্দই প্রায় লোপ পেতে বসেছে যুগমানস থেকে। সম্পাদক অনিন্দ্য বন্দোপাধ্যায় যোগ করেছেন প্রাসঙ্গিক তথ্য ও একটি সম্পূর্ণ নতুন লেখা। বইটিতে সংযোজিত হয়েছে আলাউদ্দীনের লেখা দুষ্প্রাপ্য কতগুলি চিঠি যাতে সহজ জীবনযাত্রার পাশাপাশি ঝংকৃত হয়েছে সুর, বর্ণিল হয়ে উঠেছে স্বহস্ত নির্মিত যন্ত্রের ডিজাইন।
শোভনা সেন
শচীনদাস মতিলালের ছাত্রী, দিল্লি নিবাসী। ভীষ্মদেব চট্টোপাধ্যায়ের কাছে কিছুদিন গান শিখেছিলেন।
অনিন্দ্য বন্দোপাধ্যায়
জন্ম ১৯৫৮ সালে কলকাতায়। প্রাথমিক সঙ্গীতশিক্ষা উচ্চাঙ্গ কণ্ঠশিল্পী মা আরাধনা বন্দোপাধ্যায়ের কাছে। ১৯৫৮ সালে কলকাতার আলি আকবর কলেজ অফ মিউজিকে যোগদান। পরবর্তী শিক্ষা ধ্যানেশ খান, আশিষ খান, বাহাদুর খান, নিখিল বন্দ্যোপাধ্যায় এবং আলি আকবর খানের কাছে। ইংল্যান্ড, আমেরিকা, কানাডা, ইউরোপ ও অস্ট্রেলিয়াতে বাজিয়েছেন ও শিক্ষা দিয়েছেন। পেয়েছেন ভারত সরকারের সংস্কৃতি মন্ত্রকের সিনিয়র ফেলোশিপ বিরল ‘সুরশৃঙ্গার’ বাদনের জন্য। কলকাতার দৈনিক ‘দ্য টেলিগ্রাফ’ ও ‘দ্য স্টেটসম্যান’-এ সঙ্গীত সমালোচনা করেছেন দীর্ঘ দিন। তথ্যচিত্র নির্মাণে জড়িত। অভিনয় করেছেন বহু আদৃত চলচ্চিত্রে।
প্রকাশিত ও সম্পাদিত বই-
আপনাদের সেবায় (থীমা), আমার জিবনী (থীমা) ও প্রসঙ্গ ঠুম্রি (সপ্তর্ষি)।
বইয়ের কথা